কর্ণাটকে নেতৃত্ব সংকট সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী–উপমুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক
ভারতের কর্নাটক রাজ্যে কংগ্রেসের নেতৃত্ব সংকট কখন ও কীভাবে সমাধান হবে, সে সিদ্ধান্ত এখন কংগ্রেস হাইকমান্ডের হাতে। আজ শনিবার দলীয় নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বৈঠকে বসেন উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের সঙ্গে। বেঙ্গালুরুর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত প্রাতরাশ বৈঠক শেষে দুই নেতা সাংবাদিকদের জানান—তাঁদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, ভবিষ্যতেও কোনো বিবাদ হবে না। এখন তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।
কীসের সূত্র ধরে সংকট?
এই দ্বন্দ্বে গত কয়েক দিন ধরে শিবকুমারের অনুগামীরা দিল্লিতে হাইকমান্ডের কাছে বারবার আবেদন জানাচ্ছিলেন।
বৈঠকে কী আলোচনা হলো?
হাইকমান্ডের অবস্থান
ক্ষমতা হস্তান্তর কীভাবে হতে পারে?
কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচন (২০২৮) শুরুর আগেই শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তবে তা হবে ধাপে ধাপে, যাতে ৭৭ বছর বয়সী সিদ্দারামাইয়ার প্রতি কোনো অসম্মান না হয়।
সিদ্দারামাইয়ার বয়স ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় তাঁর সামনে দল–বদলের সুযোগও নেই। দল তাকে মূল্যায়ন করতে চাইবে। অন্যদিকে শিবকুমার ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের অন্যতম শক্তিশালী নেতা; দক্ষিণ কর্নাটকে তাঁর প্রভাব ব্যপক। ফলে তিনিও দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এখনকার লক্ষ্য
দুই নেতাই হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁদের দৃষ্টি এখন আগামী ৮ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বিধানসভার অধিবেশনের দিকে, যেখানে বিজেপি ও জেডি(এস) অনাস্থা প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে।
সূত্র বলছে, আগামী বছর ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত শিবকুমারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন এবং মন্ত্রিসভা রদবদলে তাঁর অনুগামীরা বাড়তি জায়গা পেতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই