শিরোনাম

হাদির ওপর নৃশংস হামলা: জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, হুঁশিয়ারি প্রধান উপদেষ্টার

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ হাদির ওপর নৃশংস হামলা জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, হুঁশিয়ারি প্রধান উপদেষ্টার

ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সক্রিয় মুখ এবং 'ইনকিলাব মঞ্চ'-এর মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাতে (তারিখটি আপনি বসিয়ে নেবেন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীফ হাদি মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। এসময় অজ্ঞাত পরিচয়ের একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিতে তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং মারধর করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

হাদির ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকরা ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে ভিড় জমান। সংগঠনের নেতারা এটিকে পূর্বপরিকল্পিত হামলা বলে অভিযোগ করেছেন এবং এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

 তিনি এক বিবৃতিতে কঠোর বার্তা দিয়েছেন- "শরীফ ওসমান হাদির ওপর এই কাপুরুষোচিত হামলা স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে চরম ঔদ্ধত্যের সামিল। যারা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষার পথে বাধা সৃষ্টি করতে চায়, তারা ভুল করছে। সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং জড়িত যেই হোক না কেন, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।"

প্রধান উপদেষ্টা আহত হাদির চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছেন এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

পুলিশ ইতোমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, তারা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছেন এবং সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কেউ গ্রেফতার না হলেও, একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দ্রুততম সময়ে হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের একজন নেতা 'খোলাপোস্ট'-কে জানান, হাদির ওপর হামলা কেবল তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেনি, বরং এটি চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি অপচেষ্টা।

শরীফ ওসমান হাদি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ইনকিলাব মঞ্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর ওপর এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই