বিশ্ব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের প্যারাট্রুপাররা?
সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এবং সেনা প্যারা কমান্ডো দলগুলো নিয়মিতভাবে উচ্চমানের প্যারাট্রুপিং ইভেন্ট পরিচালনা করে থাকে। একাধিক বিশেষ ইভেন্টে একসঙ্গে অনেক প্যারাট্রুপার জাতীয় পতাকা বহন করে অবতরণ করেছেন, যা দেশীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত। এই দৃশ্য নিঃসন্দেহে দেশপ্রেমের এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ।
তবে, আন্তর্জাতিকভাবে এই ধরনের অর্জনকে 'বিশ্ব রেকর্ড' হিসেবে স্বীকৃতি দেয় একমাত্র গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
প্যারাস্যুটিং বা প্যারাট্রুপিং করে সর্বাধিক পতাকা বহনের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর অফিশিয়াল নথিতে বাংলাদেশের কোনো আনুষ্ঠানিক নাম নথিবদ্ধ নেই। গিনেস কর্তৃপক্ষ এই ধরনের রেকর্ডের জন্য কঠোর প্রোটোকল অনুসরণ করে, যার মধ্যে রয়েছে স্বাধীন বিশেষজ্ঞ যাচাইকরণ, রেকর্ডের ভিডিও প্রমাণ এবং নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করা।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের প্যারাট্রুপারদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বিশ্বমানের হলেও, গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণ ও নথি পেশ করার উদ্যোগটি সম্ভবত এখনও নেওয়া হয়নি।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর এই অসামান্য নৈপুণ্যকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে হলে একটি সুপরিকল্পিত ইভেন্টের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে একটি ইভেন্ট আয়োজন করে যদি আনুষ্ঠানিকভাবে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে তা পেশ করা যায়, তবে এই বিশেষ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করা বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব নয়।
এই রেকর্ডের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের নাম বিশ্ব দরবারে আরও উজ্জ্বল হবে, তেমনি আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতারও পরিচিতি বাড়বে।
কী প্রয়োজন বিশ্ব রেকর্ডের জন্য?
মানদণ্ড বিবরণ
১. প্রমাণের ধরন নিরপেক্ষ ক্যামেরা ও ড্রোন থেকে উচ্চ রেজোলিউশনের ভিডিও ফুটেজ।
২. যাচাইকরণ গিনেস মনোনীত স্বাধীন পর্যবেক্ষক বা আন্তর্জাতিক প্যারাশুটিং ফেডারেশন (FAI) এর কর্মকর্তার উপস্থিতি।
৩. পতাকার মাপ গিনেস কর্তৃক নির্ধারিত পতাকার আকার ও বহন পদ্ধতির মানদণ্ড অনুসরণ।
৪. প্রস্তুতি রেকর্ডের চেষ্টা করার বহু আগে থেকেই গিনেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও অনুমতি নেওয়া।

কোন মন্তব্য নেই