মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে মা–মেয়ের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার, গৃহকর্মী পলাতক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে মা–মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) লাশ উদ্ধার করে। নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে গৃহকর্মী (২০) জড়িত থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।
ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—গৃহকর্মী বোরকা পরে বাসায় প্রবেশ করেন এবং বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গায়ে ছিল নিহত নাফিসার স্কুল ড্রেস।
ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—গৃহকর্মী বোরকা পরে বাসায় প্রবেশ করেন এবং বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গায়ে ছিল নিহত নাফিসার স্কুল ড্রেস।
নাফিসার গলায় একাধিক গভীর ক্ষত ছিল, আর লায়লার শরীরে পাওয়া গেছে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন।
পুলিশের ধারণা, হাতে গ্লাভস পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা–মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। বাসার একটি আলমারিও এলোমেলো পাওয়া গেছে।
নিহতদের স্বামী ও নাফিসার বাবা আজিজুল ইসলাম জানান, তিনি সকালে স্কুলে গিয়েছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দরজায় কলিং বেল চাপলেও ভেতর থেকে কেউ দরজা খোলেনি। পরে ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। তিনি দেখেন—
মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মেয়ে, রান্নাঘরের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী, তখনও নাফিসা জীবিত ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দরজায় কলিং বেল চাপলেও ভেতর থেকে কেউ দরজা খোলেনি। পরে ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। তিনি দেখেন—
মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মেয়ে, রান্নাঘরের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী, তখনও নাফিসা জীবিত ছিল।
সন্দেহজনক গৃহকর্মী- চার দিন আগে তত্ত্বাবধায়ক ও নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে ওই গৃহকর্মীকে কাজে নেওয়া হয়। সে প্রতিদিন সকালে এসে কাজ করে চলে যেত। সোমবার বাসার মূল দরজার চাবি হারিয়ে যায়—তখনও সন্দেহ হলেও তাকে প্রশ্ন করা হয়নি।
আজিজুল জানান, গৃহকর্মী পরিচয় বা ফোন নম্বর দেয়নি। বলেছিল আগুনে তার বাবা-মা মারা গেছে এবং সে-ও আগুনে দগ্ধ হয়েছিল। ফ্ল্যাটের নিরাপত্তাকর্মী মো. খালেককে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ময়নাতদন্ত শেষে মা–মেয়ের লাশ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছোরা ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। বাথরুমের পাশে একটি প্লাস্টিকের পাত্রে অস্ত্রগুলো পাওয়া যায়। তাদের মতে—
“এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মা–মেয়েকে হত্যা করে বাথরুমে শরীর ধুয়ে গৃহকর্মী পালিয়ে গেছে।”

কোন মন্তব্য নেই