বিপ্লবের পর চাঁদাবাজি–দুর্নীতি বেড়েছে: জামায়াত আমিরের অভিযোগ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর থেকে একটি গোষ্ঠী জনগণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না থাকলেও অনেকে প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, কিন্তু দেশ এখনও ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে পুনরায় দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপরও তারা ক্ষমতায় এসেছে এবং বিদায় নিয়েছে রক্তাক্ত হাতে।”
শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই বিজয় কোরআনের মাধ্যমে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ভেসে গেছে। দেশের কোটি কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পূর্ববর্তী শাসকরা উন্নয়নের গল্প শোনাতেন, কিন্তু বাস্তবে তারা দেশকে লুট করে বিদেশে পালিয়ে গেছে।”
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির নেতারা বক্তব্য দেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, “ব্রিটিশরা চলে গেলেও ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যারা শাসন করেছে, তারা বৈষম্য দূর করতে পারেনি। আগামীতে চাঁদাবাজ ও জালিমদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “বাংলাদেশে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকার তার দায় নিতে হবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, খেলাফত মজলিস ও নেজামে ইসলাম পার্টি এবং অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

কোন মন্তব্য নেই