ডলারের বিপরীতে রুপির দাম কমলো, লাভবান হবে বাংলাদেশিরা
আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান কমেছে। এর ফলে বাংলাদেশিদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন সুযোগ, বিশেষ করে যাঁরা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করেন, চিকিৎসা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী দেশটিতে যান।
সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি মুদ্রা চাপে রয়েছে। এর অংশ হিসেবেই ভারতীয় রুপির দর কিছুটা কমে এসেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার নীতি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহের ওঠানামা রুপির দামের ওপর প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশিদের কীভাবে লাভ হবে
রুপির দর কমার ফলে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ভারতীয় পণ্য তুলনামূলকভাবে সস্তা হবে। এর প্রভাব পড়তে পারে কয়েকটি খাতে—
চিকিৎসা খাত: ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা হাসপাতাল খরচ, ওষুধ ও অন্যান্য ব্যয়ে কিছুটা সাশ্রয় করতে পারবেন
আমদানি বাণিজ্য: ভারত থেকে আমদানি করা খাদ্যপণ্য, কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্যের খরচ কমতে পারে
ভ্রমণ ও শিক্ষা: ভারত ভ্রমণ বা সেখানে পড়াশোনার খরচও তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
বাজারে সম্ভাব্য প্রভাব- ব্যবসায়ীরা বলছেন, রুপির দর কম থাকলে সীমান্ত বাণিজ্য ও আনুষ্ঠানিক আমদানিতে গতি আসতে পারে। এতে দেশীয় বাজারে কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকতে সহায়ক হতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, মুদ্রার দরপতন দীর্ঘমেয়াদে ভারতের নিজস্ব অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। সেই প্রভাব আঞ্চলিক অর্থনীতিতেও পড়তে পারে।
ডলারের বিপরীতে রুপির মান কমায় স্বল্পমেয়াদে বাংলাদেশিরা কিছু আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রাবাজারে দ্রুত ওঠানামা হতে পারে—এ বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

কোন মন্তব্য নেই