শিরোনাম

সিডনি হামলার জের: অস্ট্রেলিয়া-ইসরায়েল সম্পর্কে নতুন টানাপোড়েন

সিডনি হামলার জের অস্ট্রেলিয়া-ইসরায়েল সম্পর্কে নতুন টানাপোড়েন

জেরুজালেমের 'অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপের' অভিযোগ; কূটনৈতিক ব্যাখ্যা চাইল ক্যানবেরা

বিশেষ প্রতিবেদন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিডনির বন্ডি জংশন শপিং মলে (কাল্পনিক) হামলার ঘটনায় যখন অস্ট্রেলিয়া শোকাহত, ঠিক তখনই এই হামলা ঘিরে জেরুজালেম এবং ক্যানবেরার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। হামলার ঘটনাটিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তাতে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকার।

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে হামলাটিকে স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা (Mental Health Issue) হিসেবে বর্ণনা করার পরও, ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী এই হামলাকে 'সন্ত্রাসবাদ' এবং 'ইহুদি বিদ্বেষের' ফল হিসেবে মন্তব্য করেন। মন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি 'অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ তদন্তে অপ্রয়োজনীয় ও অযাচিত হস্তক্ষেপ' হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ক্যানবেরা কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলেছে, এই হামলার তদন্ত এখনও চলছে এবং এটি নিয়ে কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য আন্তর্জাতিক পক্ষ থেকে করা উচিত নয়।

"আমরা আমাদের সার্বভৌম তদন্তের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি। কোনো বিদেশি সরকার বা পক্ষ থেকে আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অকালপক্ক মন্তব্য করা উচিত নয়।"

— অ্যান্থনি হিউজেস (কাল্পনিক নাম), অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়া সরকার ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক ব্যাখ্যা (Diplomatic Clarification) তলব করেছে। ক্যানবেরার দাবি, ইসরায়েলের মন্তব্যে অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অস্থিরতা বাড়তে পারে, যা এই মুহূর্তে কাম্য নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের সংবেদনশীল মন্তব্য দুই বন্ধু রাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের সম্পর্কে শীতলতা আনতে পারে।

যদিও এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত নারী ছিলেন, তবুও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হামলায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি শোক জানিয়েছেন এবং দেশের সমস্ত নাগরিককে শান্তি ও সমন্বয় বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সিডনি হামলা একটি স্থানীয় সহিংস ঘটনা, আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের প্রতিফলন নয়।

আগামী কয়েক দিনে দুই দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার ওপর অস্ট্রেলিয়া-ইসরায়েল সম্পর্কের গতিপথ নির্ভর করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

বিষয় অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ইসরায়েলের দাবি (মন্ত্রীদের মন্তব্য)হামলার প্রকৃতি স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহিংসতা। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও ইহুদি বিদ্বেষ।

কূটনৈতিক অবস্থান অভ্যন্তরীণ তদন্তে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান। দ্রুত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে নিন্দা জানানোর দাবি। ফলাফল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক ব্যাখ্যা তলব।

কোন মন্তব্য নেই